আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

প্রকাশিত: ৭:৩৭ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৮, ২০২৪

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

 

 

ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: গত জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে নির্বিচারে গণহত্যার মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।এতে তাকে গ্রেপ্তার করে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

 

 

বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল চিফ প্রসিকিউটরের করা আবেদন গ্রহণ করে এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের সদস্যরা হলেন, বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

 

 

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের মুখোমুখি করতে ২০১০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছিলো। সেই ট্রাইব্যুনালে জামায়াত-বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে দণ্ড ঘোষণা করা হয় এবং তার অনেকগুলো কার্যকরও হয়।

 

 

 

এর মধ্যেই গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতন ঘটে জোর করে ক্ষমতা দখল করা আওয়ামী লীগ সরকারের। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায়।
এসময় প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারায় এই আন্দোলনে। হাসিনা সরকারের ১৫ বছরের শাসনের অবসানের পর শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিলে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার করার সিদ্ধান্ত হয়।

 

 

 

বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারকে প্রধান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল পুনর্গঠনের অনুমোদন দেয় আইন মন্ত্রণালয়। ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান এবং সদস্যরা ১৫ অক্টোবর বিচারিককাজে যোগ দেন।

 

 

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কার্যতালিকায় শুরুর দিনে তিন মামলাআন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কার্যতালিকায় শুরুর দিনে তিন মামলা ছাত্র আন্দোলনের সময় কয়েকশ মৃত্যুর ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে বিবেচনা করে শেখ হাসিনাসহ ক্ষমতাচ্যুত সরকারের কয়েক ডজন মানুষের বিরুদ্ধে বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে এরইমধ্যে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে। তা একে একে কার্যক্রম চলমান থাকবে।

 

 

0Shares