বাংলাদেশের ছিটকে যাওয়ার ম্যাচে ‘ডেড বল’ বিতর্ক

প্রকাশিত: ৮:৩৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৩, ২০২৪

বাংলাদেশের ছিটকে যাওয়ার ম্যাচে ‘ডেড বল’ বিতর্ক

স্পোর্টস ডেস্ক :বল হাতে ছুটছেন শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের পেসার ইশান মালিঙ্গা। বোলিং মার্কে পৌঁছালে ডেড বল দেন আম্পায়ার, তবে ততক্ষণে আর থামার উপায় ছিল না ইশানের। ডেলিভারি ঠিকই হয় আর সেটাতে লং অফ দিয়ে ছক্কা মারেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ব্যাটার আবু হায়দার রনি। কিন্তু বল তো ডেড ডাকা হয়েছে আগেই! আম্পায়ারের এই সিদ্ধান্তে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশের ড্রেসিংরুম। অধিনায়ক আকবর আলী ছুটে যান চতুর্থ আম্পায়ারের কাছে। মাঠে থাকা দুই ব্যাটারও প্রতিবাদ করেন। তবে তাতে কোনো কাজ হয়নি। সিদ্ধান্ত বদলায়নি। মোমেন্টাম হারিয়ে এরপর আর কোনো বড় শট খেলতে পারেনি রনি, বাংলাদেশ পারেনি হার এড়াতে।

শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের বিপক্ষে মঙ্গলবার ১৯ রানে হেরে ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নেয় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। বিদায়ের শঙ্কায় থাকা লঙ্কানরা শেষ পর্যন্ত সেমিফাইনালে উঠলো গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে। এর আগে হংকংকে হারিয়ে শুরুর পর আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার কাছে টানা হারে আকবরের দল। ওমানের আল আমেরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডে মঙ্গলবার ১৬২ রানের লক্ষ্যে ২০ ওভারে বাংলাদেশ করতে পারে ১৪২। হৃদয়-ইমনসহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ৮ জন ক্রিকেটারকে দলে নিয়ে ইমার্জিং এশিয়া কাপে খেলতে যায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। অথচ সেমিফাইনালেও উঠতে পারেনি তারা।

তবে ম্যাচের ফল ছাপিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে ডেড বল কাণ্ডে আম্পায়ারদের হাস্যকর সিদ্ধান্ত। শেষ ৫ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৫৯ রান। বল হাতে বাজে দিন পার করা রনি ব্যাট হাতে লড়াইয়ে ফেরান বাংলাদেশকে। ১৬তম ওভারে ছক্কা মারেন টানা দুটি, পরের ওভারে আরেকটি। ১৭তম ওভারেই হয় ডেড বল বিতর্ক। ব্যাটার প্রস্তুত, বোলার প্রস্তুত আর ডেড বল ডাকা হয়েছে ডেলিভারি করার ঠিক আগ মুহূর্তে। এ সময় ধারাভাষ্যকাররাও খুঁজে পাচ্ছিলেন না কেন ডেড বল ডাকা হয়েছে। তারা বলছিলেন, কোনো খেলোয়াড় মাঠের বাইরে থাকলে ‘ডেড বলের’ পরিবর্তে ‘নো বল’ ডাকা উচিত ছিল। এরপর একটি চারের বেশি মারতে পারেননি রনি। শেষ পর্যন্ত ২৫ বল ৩ ছক্কা ও একটি চারে ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।

0Shares