যুক্তরাষ্ট্রের চাপে হামাস নেতাদের কাতার ছাড়ার নির্দেশ?

প্রকাশিত: ৯:৪২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৯, ২০২৪

 

 

 

 

 

ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: যুক্তরাষ্ট্রের ‘চাপে’ কাতার এক সপ্তাহ আগে হামাসকে বলে দিয়েছে, দোহায় তাদের কূটনৈতিক অফিস বন্ধ করতে হবে। এমনই খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে।

 

রিপোর্ট বলছে, মার্কিন কর্মকর্তারা প্রায় দুই সপ্তাহ আগে কাতারকে বলেছিল, তাদের রাজধানীতে হামাসকে আশ্রয় দেওয়া বন্ধ করতে হবে।

সূত্রের বরাতে সিএনএন বলছে, এতে কাতার রাজি হয় এবং প্রায় এক সপ্তাহ আগে হামাসকে দেশ ছাড়ার নোটিশও দেয়।

সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের মধ্যে দামেস্ক থেকে হামাসের সদর দপ্তর সরিয়ে নেওয়ার পর ২০১২ সাল থেকে সংগঠনটির কর্মকর্তাদের আশ্রয় দিয়ে আসছে কাতার।

বাইডেন প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেছেন, হামাস একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, যারা আমেরিকানদের হত্যা করেছে এবং আমেরিকানদের জিম্মি করে রেখেছে। জিম্মিদের মুক্তির প্রস্তাব বারবার প্রত্যাখ্যান করার পর এর নেতাদের আর কোনো আমেরিকান অংশীদারের রাজধানীতে স্বাগত জানানো উচিত নয়।

এদিকে হামাসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, দোহা থেকে হামাস কর্মকর্তাদের বহিষ্কারে কাতারের সম্মত হওয়ার খবর ‘ভিত্তিহীন’ এবং এটি একটি ‘চাপ প্রয়োগের কৌশল’।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে কাতার হামাসকে দোহা থেকে বিতাড়িত করতে রাজি হয়েছে বলে ইসরাইলি গণমাধ্যমে যা প্রকাশিত হয়েছে, তার কোনো ভিত্তি নেই। এটি নিছক চাপ প্রয়োগের কৌশল।

 

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার চেষ্টায় গত এক বছর ধরে কাতার একটি বড় খেলোয়াড় ছিল। কারণ হামাসের সিনিয়র সদস্যরা দোহায়। এ কারণে কাতারের রাজধানীতে এসব ইস্যুতে বড় ধরনের আলোচনা হয়েছে।

চলতি বছরের শুরুর দিকে মার্কিন বিচার বিভাগ ইসরায়েলে ৭ অক্টোবরের হামলার জন্য হামাসের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন খালেদ মেশাল কাতারে থাকেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ