গুম কমিশনকে সহায়তার আশ্বাস প্রধান উপদেষ্টার

প্রকাশিত: ৭:৫৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১০, ২০২৪

গুম কমিশনকে সহায়তার আশ্বাস প্রধান উপদেষ্টার

ডায়ালসিলেট ডেস্ক :২০০৯ থেকে ২০২৪ সালে শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে বলপূর্বক গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত এবং তাদের জবাবদিহি করতে গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, আপনাদের যা কিছু প্রয়োজন তার সুবিধা দেব এবং সব ধরনের সহায়তা করব।

শনিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এক বৈঠকে তিনি এই প্রতিশ্রুতি দেন। এতে সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা ও গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, বৈঠকে কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছেন, ৩১শে অক্টোবর পর্যন্ত তারা প্রায় ১৬০০টি অভিযোগ পেয়েছেন। এর মধ্যে ৪০০টি অভিযোগ যাচাই-বাছাই করা হয়েছে এবং ১৪০ অভিযোগকারীর সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে। বৈঠকে কমিশনের সদস্যরা বলেছেন, এ বিষয়ে আরও কাজ করার আগে তারা ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সরকারকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন দেবেন।
বৈঠকে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, সরকার প্রয়োজনে কমিশনের মেয়াদ দুই বছর বাড়াবে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সুরক্ষার জন্য আইনি ব্যবস্থা তৈরিসহ প্রয়োজনীয় আদেশ জারি করবে।

কমিশনের একজন সদস্য বলেন, অভিযোগের সংখ্যা দেখে আমরা অভিভূত হয়েছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রতিশোধের ভয়ে অনেকেই এখনও কমিশনে আসছেন না। এ থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, ঘটনার সংখ্যা এখন পর্যন্ত যতটা রিপোর্ট করা হয়েছে তার থেকে অনেক বেশি।
কমিশনের সদস্যরা বলেন, তারা সন্দেহ করছেন যে, জোরপূর্বক গুমের সংখ্যা কমপক্ষে সাড়ে তিন হাজার হতে পারে। কারা অপরাধ করেছে এবং কারা তাদের নির্দেশ দিয়েছে তা চিহ্নিত করার জন্য কাজ করছে।
তারা বলেন, ভুক্তভোগীদের অনেকেই কারাগারে রয়েছেন, কেউ কেউ মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি হয়েছেন, কারণ তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে বাধ্য করা হয়েছিল। কিছু গুমের শিকার প্রতিবেশী ভারতের কারাগারে বন্দি আছে বলে ধারণা করা হয়।

কমিশনের সদস্যরা গোপন স্থানে আলামত রক্ষার জন্য সরকারের সহায়তা চেয়েছেন, যেখানে ভিকটিমদের লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।
কমিশনের একজন সদস্য বৈঠকে বলেন, অনেক ভুক্তভোগী আমাদের বলেছেন যে, তারা বছরের পর বছর সূর্য দেখেননি। তারা উপলব্ধি করতে পারে যে, এটি একটি নতুন দিন যখন সকালের নাস্তা পরিবেশন করা হয়েছিল। অভিযুক্ত ব্যক্তির বিদেশ সফরের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং সম্ভব হলে তাদের পাসপোর্ট বাতিল করার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান ওই সদস্য।
বৈঠকে উপস্থিত থাকা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, কমিশন অভিযুক্তদের তালিকা দিলেই তারা তা করবেন।

0Shares