অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়িত করতে সামরিক বাহিনীকে কাজে লাগাবেন ট্রাম্প

প্রকাশিত: ১২:১৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৯, ২০২৪

অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়িত করতে সামরিক বাহিনীকে কাজে লাগাবেন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :যুক্তরাষ্ট্রের মসনদে বসলে দেশটি থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়িত করার পরিকল্পনা আগেই নিয়ে রেখেছিলেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এবার  আরেকটি পরিকল্পনার কথা নিশ্চিত করেছেন তিনি। অবৈধ অভিবাসীদের তাড়াতে সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করবেন তিনি। একইসঙ্গে কট্টরপন্থী মন্ত্রিসভার সহায়তায় অনথিভুক্ত অভিবাসীদের জন্য জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করবেন। দিনকয়েক আগে কনজারভেটিভ গোষ্ঠী জুডিশিয়াল ওয়াচের সভাপতি টম ফিটন একটি পোস্টে  লিখেছিলেন যে, ‘অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়িত করার প্রকল্পে বাইডেন হস্তক্ষেপ করেছিলেন। তা আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে ‘জাতীয় জরুরি পরিস্থিতি জারি ও সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহারের’ প্রস্তুতি নিয়েছেন ট্রাম্প।’

আজ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ট্রাম্প তার প্রতিক্রিয়ায়  জানিয়েছেন ‘কথাটি সত্য!’ , ট্রাম্প বলেছেন যে, তিনি তার প্রেসিডেন্ট পদে মেয়াদের প্রথম দিন থেকে  অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়িত করার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে চান।  তিনি এটিকে  ‘আমেরিকান ইতিহাসের বৃহত্তম নির্বাসন কর্মসূচি’  হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

ট্রাম্প এর আগে পরামর্শ দিয়েছিলেন যে তিনি যুদ্ধকালীন তৎপরতা, সামরিক বাহিনী, সহানুভূতিশীল রাষ্ট্র এবং স্থানীয় নেতাদের উপর নির্ভর করবেন। মার্কিন সরকারের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে ১ কোটি ১০ লাখ মানুষ অবৈধভাবে বসবাস করছেন। ট্রাম্প যদি পরিকল্পনা অনুযায়ী অবৈধ অভিবাসীদের তাড়ানো শুরু করেন, তাহলে তা সরাসরি প্রায় ২ কোটি পরিবারের ওপর প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ডেমোক্র্যাটিক নেতাদের কেউ কেউ ইতিমধ্যেই বলছেন যে, তারা ট্রাম্পের নির্বাসন এজেন্ডাকে সমর্থন করবে না। দ্বিতীয় মেয়াদের অভিবাসন ক্র্যাকডাউন বাস্তবায়নের জন্য অনুগত এবং কট্টরপন্থীদের একটি দলকে একত্রিত করেছেন ট্রাম্প। টম হোম্যান, যিনি ট্রাম্পের প্রথম প্রশাসনে ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ছিলেন তাকে উদ্দেশ্য করে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘হোমান সমস্ত অবৈধ এলিয়েনদের তাদের মূল দেশে ফেরত পাঠানোর দায়িত্বে থাকবেন’। এছাড়াও দ্বিতীয় মেয়াদে ফিরে আসছেন স্টিফেন মিলার, গত প্রশাসনের সবচেয়ে বিতর্কিত অভিবাসন নীতির প্রধান রক্ষক। মিলারকে হোয়াইট হাউসের ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি উপদেষ্টা মনোনীত করা হয়েছিল, যা  অভিবাসন নীতিতে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলেছিল।

0Shares