নতুন সরকারের মেয়াদ হবে অনধিক ৪ বছর

প্রকাশিত: ১২:২৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৯, ২০২৪

নতুন সরকারের মেয়াদ হবে অনধিক ৪ বছর

ডায়ালসিলেট ডেস্ক :সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভাবতে পারেন, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। তিনি বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন। এ বিষয়ে ভারতের কাছে আমরা অভিযোগ দিয়েছি। বিষয়টি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ অবস্থায় সমাধান হওয়া উচিত। আল জাজিরা টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি আরও বলেছেন, সংস্কারের মাধ্যমে আসা সরকারের মেয়াদ হবে অনধিক ৪ বছর। শেখ হাসিনার বিচার ইস্যুতে তিনি বলেন, ভারতের কাছে তাকে ফেরত চাইবে বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা আকস্মিক দেশ ছেড়ে পালানোতে প্রত্যেকে বিস্মিত হয়েছে। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা করেন তিনি। ওদিকে যুক্তরাষ্ট্রে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে বাংলাদেশের সম্পর্ক কেমন হবে সে বিষয়েও মন্তব্য করেন ড. ইউনূস।

যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের আগে ডনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায় সহ সংখ্যালঘু নির্যাতনের যে অভিযোগ করেছিলেন, তা নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে তার প্রশাসনের সম্পর্ক উত্তেজনাকর হতে পারে বলে বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মত দেন। কিন্তু ড. ইউনূস বলেছেন- বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দল ডেমোক্রেটের অনেক সদস্য যেমন তার বন্ধু, তেমনি রিপাবলিকান দলেও তার বন্ধু আছেন। যুক্তরাষ্ট্রে কে প্রেসিডেন্ট তার ওপর তাদের পররাষ্ট্রনীতি নির্ভর করে না। তাদের পররাষ্ট্রনীতি স্থিতিশীল। একবার একদিকে, আবার অন্যদিকে তা যায় না। এ ছাড়া বিগত সরকারের সময়ে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির সমালোচনা করেন ড. ইউনূস। জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যু এবং তাতে বাংলাদেশের ঝুঁকি, বিশ্বের ঝুঁকি এবং করণীয় নিয়ে আলোচনা করেন  নোবেল পুরস্কার পাওয়া একমাত্র বাংলাদেশি ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন (কপ-২৯) এ যোগ দেন ড. ইউনূস। সেখানে তার সাক্ষাৎকার নেন আল জাজিরার বিশেষ সংবাদদাতা নিক ক্লার্ক। তিনি বলেন, যেখানে বিশ্বে মনোযোগ জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় নিবদ্ধ, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ বেশ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। জলবায়ু ঝুঁকিতে শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে। দেশটি ২০৫০ সালের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সমুদ্রের জলসীমা উচ্চতার ফলে শতকরা ১৭ ভাগ ভূমি হারাতে পারে। ফলে বাংলাদেশের প্রায় ৩০ শতাংশ কৃষিজমি নিশ্চিহ্ন হতে পারে এবং লাখ লাখ মানুষকে বিপন্ন করতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশ পরিবেশগত হুমকির চেয়েও আরও সংকট মোকাবিলা করছে।

0Shares