তারেক রহমান আসছেন

প্রকাশিত: ৩:২৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২০, ২০২৪

তারেক রহমান আসছেন

ডায়ালসিলেট ডেস্ক :এ যৌবন জল-তরঙ্গ রুধিবি কি দিয়া বালির বাঁধ?’-জাতীয় কবির কবিতার এই পঙ্‌ক্তির মর্মার্থ অনুযায়ী বাস্তবিকই বালির বাঁধ দিয়ে সমুদ্রের উত্তাল তরঙ্গ রোধ করা সম্ভব নয়। তরঙ্গের প্রবল অভিঘাতে সে বাঁধ কোথায় ভেসে যাবে, সূক্ষ্ম বালিকণা কোথায় হারিয়ে যাবে, তার ঠিক-ঠিকানা নেই। দীর্ঘ ৯ বছরের ঘটনাক্রম পর্যালোচনা করে, দেশের মানুষের আবেগ-অনুভূতির সুলুক সন্ধান করে এ কথা আজ দৃঢ়তার সঙ্গে বলার সময় এসেছে যে, হৃষ্টবিত্তে তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন আর গরিমাময় সরব উত্থানকে রোধ করার সাধ্য এখন কারও নেই। কোনো ষড়যন্ত্র বা চক্রান্তই আর হালে পানি পাবে না।

আমাদের স্মরণ আছে, কোন পটভূমিকায় তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন; কতোভাবে তাকে হেনস্তা করা হয়েছিল; কীভাবে, কী উদ্দেশ্যে তার ওপর একের পর এক মিথ্যা মামলা চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল; নানা ঘৃণ্য অপবাদ তার বিরুদ্ধে সাজানো হয়েছিল; কতোটা নৃশংস নির্যাতন চালানো হয়েছিল; কোন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর সুপারিশ করেছিলেন; ক্ষমতাসীন প্রতিপক্ষের শত বিরোধিতা আর আইনের মারপ্যাঁচ উতরিয়ে কীভাবে তাকে সুদূর লন্ডনে চিকিৎসার জন্য যেতে হয়েছিল।আমাদের আরও স্মরণ আছে, গত ৯ বছরে এই দেশে কতো অন্যায়-অবিচারের ঘটনা ঘটেছে। বাক-ব্যক্তি-সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে কীভাবে টুঁটি চেপে রুদ্ধ করা হয়েছে। কীভাবে নাগরিক অধিকারকে পদদলিত করা হয়েছে। হত্যা-ধর্ষণ-গুম-রাহাজানির কী রকম মহোৎসব চালানো হয়েছে। হামলা-মামলা দিয়ে, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে কীভাবে মুক্তবুদ্ধির বিকাশকে স্তব্ধ করা হয়েছে। কতো ফ্যাসিস্টসুলভ বর্বরতায় বিরোধী মত-পথ-চিন্তাকে দলন করা হয়েছে। দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতি-গোষ্ঠী প্রীতির মাধ্যমে কীভাবে লুটপাট করে দেশের অর্থনীতির সর্বনাশ করা হয়েছে; লাগামহীন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি আর সেবাখাতে কর চাপিয়ে কীভাবে জনগণকে নিষ্পিষ্ট করা হয়েছে। দেশ ও জনগণের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে কীভাবে অসম ও অন্যায় চুক্তির মাধ্যমে এদেশের সহায়-সম্পদ, সার্বভৌমত্ব বিদেশি শক্তির পদতলে নিবেদন করার নির্লজ্জ প্রয়াস চলেছে। বিদেশি খুঁটির জোরে, পেশিশক্তি আর কূটকৌশলে জনগণের ভোটের অধিকার পর্যন্ত হরণ করা হয়েছে।অধিকারহারা জনগণ দুঃখ-কষ্টে প্রায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়লেও তাদের চেতনার দরজা এখন উন্মুক্ত হয়ে গেছে। ৯ বছরের ঘটনা পরম্পরা থেকে তাদের অন্তরে সুস্পষ্ট ধারণা এসেছে- কী কারণে সম্পূর্ণ অন্যায় ও বেআইনিভাবে তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করে নির্যাতনের স্টিম রোলার চালানো হয়েছিল কী কারণেই-বা বর্তমান ক্ষমতাসীন মহল তার বিরুদ্ধে নিরন্তর অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে এবং তাকে রাজনৈতিকভাবে নিষ্ক্রিয় করার সবরকম ফন্দি-ফিকির-অপকৌশল-ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। জনগণের সহজ উপলব্ধি হলো- তারেক রহমানের মতো উঁচু মাপের সংগঠক, দেশপ্রেমিক ও জনদরদী নেতা সক্রিয় থাকলে দেশের মাটিতে এত অন্যায় সংঘটিত হতে পারতো না; এ দেশের সম্পদ লুটেপুটে খাওয়ার এবং সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দেয়ার সুযোগ পাওয়া যেতো না। এ কারণেই পরিকল্পিতভাবে তাকে দেশ ও জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করার দীর্ঘপ্রয়াস। এই প্রয়াসের সূত্রপাত ঘটেছিল সেইদিন, যেদিন তৃণমূল মানুষের আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়ে তিনি অনেক উঁচুমানের রাজনীতিক হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার সম্ভাবনায় দাঁড়িয়েছিলেন। দেশি-বিদেশি অপশক্তির অন্তর আত্মা সেদিনই কেঁপে উঠেছিল। এই তরুণ যদি রাজনীতিতে দৃঢ় কোনো ভিত্তি পায় তখন তাদের অবস্থা কী দাঁড়াবে? তিনি তো জনগণমননন্দিত হবেন; দেশ আর জনগণের স্বার্থ দেখবেন। তখন তাদের স্বার্থ যে মাঠেই মারা যাবে। তাদের পিছিয়ে পড়া রাজনীতি জনগণ গ্রহণ করবে না। রাজনীতির নামে জনগণকে ধোঁকা দিয়ে লুটপাটের খেলা কিংবা বিদেশি প্রভুর স্বার্থ চরিতার্থ করে সেবাদাসের নিরাপদ সুখ ভোগ করা কোনোটাই যে সম্ভব হবে না। অতএব, ঠেকাও তাকে। রুদ্ধ করো তার বেগময় অগ্রযাত্রা। অভিন্ন স্বার্থের কারণেই দেশীয় অপশক্তির সঙ্গে সেদিন বিদেশি অপশক্তির গভীর মৈত্রী সৃষ্টি হয়েছিল। সেই পথ ধরেই সৃষ্টি হয়েছিল লগি-বৈঠার তাণ্ডব আর ১/১১-এর গভীর সংকট। তারপরই গ্রেপ্তার করা হলো তারেক রহমানকে।

0Shares