লংমার্চের পথে পথে নেতাকর্মীদের ঢল

প্রকাশিত: ১২:২২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১২, ২০২৪

লংমার্চের পথে পথে নেতাকর্মীদের ঢল

ডায়ালসিলেট ডেস্ক :ঢাকা থেকে আগরতলা অভিমুখে লংমার্চ করেছে বিএনপি’র তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। ঢাকা থেকে হাজারো নেতাকর্মী নিয়ে আখাউড়া সীমান্তে সমাবেশ করে বাংলাদেশের পতাকা অবমাননা ও দূতাবাসে হামলার কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছেন নেতারা। পাশাপাশি দিয়েছেন বন্ধুত্বের বার্তা। বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ কোনো দেশের প্রভুত্ব মেনে নেয়নি, ভারতের প্রভুত্বও মেনে নেয়নি এবং আগামী দিনেও মেনে নেবে না। দেশ নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র করতে চাইলে তা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের কর্মীরা প্রতিহত করে দেবে।

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা, ভারতীয় মিডিয়ায় অপপ্রচার ও সামপ্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আয়োজিত লংমার্চটি সকাল ৯টায় নয়াপল্টনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে পল্টন- সাইনবোর্ড-চিটাগং রোড- কাঁচপুর মোড়-তারাবো- বরপা-ভুলতা, গাউছিয়া-চনপাড়া, মাধবদী-পাঁচদোনা- সাহেপ্রতাব, ভেলানগর- ইটখোলা-মারজাল-বারুইচা হয়ে বেলা সাড়ে ১২টায় ভৈরব পৌঁছায়। সেখানে সংক্ষিপ্ত পথসভা করে বিকাল সাড়ে ৩টায় আখাউড়া  পৌঁছায় লংমার্চের বহর। গাড়িবহর ঢাকা থেকে বের হওয়ার পর সড়কের দু’পাশে নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি ছিল। তারা হাত নেড়ে, ফুল ছিটিয়ে গাড়িবহরকে স্বাগত জানান। আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে তিন সংগঠনের নেতাকর্মীরা গাড়ি ও মোটরবাইক বহর নিয়ে লংমার্চে অংশগ্রহণ করেন। তারা জাতীয় ও দলীয় পতাকা এবং ফেস্টুন নিয়ে এই কর্মসূচিতে যোগ দেন।কর্মসূচিকে ঘিরে সকাল ৭টা থেকে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হতে শুরু করেন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্যদিয়ে সকাল ৯টায় লংমার্চ শুরু হয়। সেখানে উদ্বোধনী বক্তব্যে বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা কিনেছি, এই স্বাধীনতা আমরা বিক্রি করে দেবো? আমরা পিন্ডির কাছ থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি, এটা দিল্লির কাছে আত্মসমর্পণ করবো- এই রক্ত আমাদের নেই। তিনি বলেন, আজকে দিল্লির যারা সামপ্রদায়িক শাসকগোষ্ঠী তারা মনে রেখো, তোমরা একজন ভয়ঙ্কর রক্তপিপাসু লেডি ফেরাউনকে টিকিয়ে রাখার জন্য সমর্থন দিয়েছিলে। আজকে ভারতের শাসকগোষ্ঠী গোটা পৃথিবীর গণতান্ত্রিক দেশগুলোর কাছে সমালোচিত। অথচ ভারত গণতান্ত্রিক দেশ। বাংলাদেশের মানুষের রক্তের যে তেজ, আত্মশক্তি, বীরত্ব- এটা দিল্লির শাসকরা বুঝতে পারেনি।হাসিনাসহ তাদের দোসরদের ফিরিয়ে দিতে।

স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান  বলেন, দাসত্ব নয়, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য জীবনকে বাজি রাখতে হবে। প্রয়োজনে দেশের সম্মান রক্ষায় আবারো রক্ত দেবো। তবুও দিল্লির দাসত্ব মানবে না এদেশের জনগণ। ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, এই লংমার্চ সফল হয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে এই লংমার্চ শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে ভারতকে স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছি, শেখ হাসিনা আপনাদের পৃষ্ঠপোষকতায় হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গুম ও খুন করেছে। সুতরাং যতই ষড়যন্ত্র করুন না কেন, তা সফল হবে না।

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ