জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত: ৭:১৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৯, ২০২৫

জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী আজ

ডায়ালসিলেট ডেস্ক:বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী আজ রোববার (১৯ জানুয়ারি)।

১৯৩৬ সালের এই দিনে বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার বাগবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। জিয়াউর রহমানের ডাকনাম ‘কমল’। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর তিনি বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে দলটি।

জিয়াউর রহমানের বাবা মনসুর রহমান পেশায় ছিলেন একজন রসায়নবিদ। বগুড়া ও কলকাতায় শৈশব-কৈশোর অতিবাহিত করার পর জিয়াউর রহমান বাবার কর্মস্থল করাচিতে চলে যান। শিক্ষাজীবন শেষে ১৯৫৫ সালে তিনি পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে অফিসার হিসেবে কমিশন লাভ করেন।

১৯৮১ সালের ৩০ মে একদল বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে শাহাদতবরণ করেন তিনি। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে তাকে সমাহিত করা হয়।

বিএনপি মহাসচিবের বাণী : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বাণীতে জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বলেন, শহীদ জিয়ার বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শনেই আমাদের জাতিসত্ত্বার সঠিক স্বরূপটি ফুটে ওঠে, যা আমাদের ভৌগলিক জাতিসত্ত্বার সুনির্দিষ্ট পরিচয় দান করে। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখারও অবিনাশী দর্শন। তিনি জিয়ার জন্মবার্ষিকীতে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা; গণতন্ত্র, মানুষের ভোটাধিকার, মানবিক সাম্য, ন্যায়-বিচার ফিরিয়ে আনা এবং মানুষের হারানো মৌলিক ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান।

কর্মসূচি : জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ রোববার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়গুলোতে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। এরপর বেলা ১১টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে শহীদ জিয়ার মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও নেতাকর্মীরা। দুপুর ২টায় রমনাস্থ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। দিবসটি উপলক্ষে পোস্টার প্রকাশ ও পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর উদ্যোগে জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা ও বিভিন্ন ইউনিটে নিজ নিজ সুবিধা অনুযায়ী আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন আলোচনা সভা ও শীতবস্ত্র বিতরণ করবে।

 

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ