প্রকাশিত: ৬:০৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৫
ডায়ালসিলেট ডেস্ক :ভারতের ছত্তীসগড় রাজ্যের বিজাপুরে এনকাউন্টারে ৩১ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে। রোববার সকালে ছত্তীসগড় পুলিশ জানিয়েছে, বিজাপুর জেলায় গুলির লড়াইয়ে ৩১ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে। তবে পাল্টা হামলায় দু’জন নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যেরও মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত আরও দুই জওয়ান। এখনও দু’পক্ষের গুলির লড়াই চলছে। সপ্তাহখানেক আগেই এই বিজাপুরেই যৌথ বাহিনীর এনকাউন্টারে আট জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছিল।এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত শুক্রবার বিজাপুরের জঙ্গল এলাকায় মাওবাদীদের ‘পশ্চিম বস্তার ডিভিশন’-এর সদস্যদের উপস্থিতি সম্পর্কে খবর পাওয়া যায়। তার পরই ওই এলাকায় অভিযান শুরু করে সিআরপিএফ, ছত্তীসগড় সশস্ত্র পুলিশ এবং কোবরা ইউনিটের সদস্যেরা। শনিবার রাত থেকে শুরু হওয়া গুলির লড়াইয়ে এই মাওবাদীদের মৃত্যু হয়েছে।
২০ জানুয়ারি ওড়িশা-ছত্তিশগড় সীমান্তের একটি জঙ্গলে ১৬ জন মাওবাদী নিহত হয়েছিল নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে। নিহতদের তালিকায় মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটির এক সদস্যও ছিল। গত ১৬ জানুয়ারি আবার ১৮ মাওবাদীকে খতম করা হয়েছিল। গত বছর ছত্তিশগড়ে বিভিন্ন এনকাউন্টারে মোট ২১৯ মাওবাদী নিহত হয়েছিল। উদ্ধার হয়েছিল বহু অস্ত্রশস্ত্র।
দেশ থেকে মাওবাদীদের হটানোর কথা বার বার জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি দাবি করেছেন, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে ভারত থেকে মাওবাদীদের সম্পূর্ণ নির্মূল করা হবে। মাওবাদীদের আত্মসমর্পণ করতেও উৎসাহ দেওয়ার কথা জানা গেছে। আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের চাকরির সংস্থান, স্বাস্থ্য-সহ যাবতীয় দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে, এমন প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, নয়া নীতিতে মাওবাদীদের নির্মূলের পথে ইতিমধ্যে অনেকটাই এগিয়েছে ।
গত ৩ জানুয়ারি থেকে বস্তার ডিভিশন জুড়ে নতুন করে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী। বিজাপুর ও সুকমার পাশাপাশি নারায়ণপুর, দন্তেওয়াড়া, জগদলপুর, কাঁকের এবং কোন্ডাগাঁও জেলার পাহাড়-জঙ্গলেও চলছে তল্লাশি অভিযান। পাশাপাশি, মাওবাদী গেরিলাদের মূল স্রোতে শামিল হওয়ার জন্য চলছে ধারাবাহিক প্রচার অভিযান।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech