প্রকাশিত: ১১:৫৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫
আবাসিকে গ্যাসের দাম বাড়াতে চায় তিতাস, বাখরাবাদ ও চট্টগ্রামের কর্ণফুলী গ্যাস বিতরণ কোম্পানি। বাখরাবাদ ও কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির প্রস্তাবে মিটারবিহীন আবাসিক গ্রাহকদের বিল বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। তিতাস আগেই বিল বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) করা প্রস্তাবে কৌশলে মিটারবিহীন আবাসিক গ্রাহকদের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে।
চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও চাঁদপুর এলাকায় বিতরণের দায়িত্বে থাকা কোম্পানি দুটির প্রস্তাব অনুমোদন হলে মিটারবিহীন আবাসিক গ্রাহকদের মাসের বিল প্রায় ৩০০ টাকার মতো বাড়বে। বিইআরসিতে দাখিল করা প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সব মিটারবিহীন গ্রাহকের আঙিনায় প্রি-প্রেইড মিটার স্থাপনের আগ পর্যন্ত গ্যাস বিপণন নিয়মাবলি-২০১৪ অনুযায়ী একক ও দুই চুলার গ্যাস ভোগ নির্ধারণ করা হলে তা প্রকৃত গ্যাস ব্যবহারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। গ্যাস বিপণন নিয়মাবলিতে এক চুলা ৭৩.৪১ ঘনমিটার ও দুই চুলা ৭৭.৪১ ঘনমিটার বিলের কথা বলা হয়েছে।
ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: পরিমাণ গ্যাসের বিল আদায় করা হয়। গ্রাহক ব্যবহার করুক, না করুক অথবা বেশি ব্যবহার করলেও নির্ধারিত বিলই তাকে দিতে হয়। বিইআরসি সবশেষ গ্যাসের দাম বৃদ্ধির আদেশ দেয় ২০২২ সালের ৫ জুন। ওই আদেশের আগে গণশুনানি হয়। তখন বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারকারী গ্রাহকদের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গড়ে এক চুলা ৪০ এবং দুই চুলা সর্বোচ্চ ৫০ ঘনমিটার ব্যবহার করছে। প্রি-পেইড গ্রাহকের ব্যবহারের পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে এক চুলা ৭৩.৪১ ঘনমিটার ও দুই চুলা ৭৭.৪১ ঘনমিটার থেকে কমিয়ে যথাক্রমে ৫৫ ও ৬০ ঘনমিটার করা হয়।
একাধিক বিতরণ কোম্পানি আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার কথা বলেছে। ওই প্রস্তাব কার্যকর হলে এক চুলার বিল ৯৯০ টাকা থেকে বেড়ে ১৩২১ টাকা এবং দুই চুলা ১৩৯৩ টাকা হবে। অন্যদিকে তিতাস গ্যাস ২০২৩ সালে বিদ্যমান এক চুলা ৫৫ ঘনমিটার (৯৯০ টাকা) থেকে বাড়িয়ে ৭৬.৬৫ ঘনমিটার দুই চুলা ৬০ ঘনমিটার (১০৮০ টাকা) থেকে বাড়িয়ে ৮৮.৪৪ ঘনমিটার করার আবেদন দিয়ে রেখেছে। বিইআরসি সেই প্রস্তাব দীর্ঘদিন ঝুলিয়ে রেখে সম্প্রতি তৃতীয় পক্ষকে দিয়ে মূল্যায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
৬ জানুয়ারি বিদ্যমান গ্রাহকদের দর অপরিবর্তিত রেখে নতুন শিল্প কারখানার বয়লার ও শিল্প কারখানার জেনারেটরে (ক্যাপটিভ) সরবরাহ গ্যাসের দাম যথাক্রমে ৩০ ও ৩১.৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫.৭২ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে পেট্রোবাংলা। বিদ্যমান গ্রাহকদের অপরিবর্তিত রেখে প্রতিশ্র“ত গ্রাহকদের (ইতোমধ্যে অনুমোদিত) অর্ধেক বিল বিদ্যমান দরে অর্ধেক ৭৫.৭২ টাকা হার নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়। এরপর বিতরণ কোম্পানিগুলো দাম বাড়ানোর প্রস্তাব জমা দিয়েছে বিইআরসিতে। ২৬ ফেব্র“য়ারি গণশুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছে বিইআরসি।
শিল্পে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব কার্যকর হলে উৎসে কর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বিতরণ কোম্পানিগুলো লোকসানের মুখে পড়বে বলে কৌশলী উদ্বেগ জানিয়েছে। বিতরণ কোম্পানিগুলো তাদের প্রস্তাবে বলে, আয়কর আইন-২০২৩ এবং উৎসে কর বিধিমালা-২০২৩ এর ধারা-০৩ (সংশোধনী) অনুযায়ী যে কোনো পরিমাণ বিক্রি গ্যাসের বিল থেকে ভ্যাট ব্যতীত অর্থের ওপর ২ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তনের বিধান রয়েছে। সে অনুযায়ী ভোক্তা কর্তৃক কোম্পানির গ্যাস বিল থেকে ২ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তন করে সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করছে। ভোক্তা পর্যায়ে প্রস্তাবিত গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করা হলে উৎসে কর কর্তনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। সেক্ষেত্রে কোম্পানির কর দায় অপেক্ষা উৎসে আয়কর অধিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech