প্রকাশিত: ৬:৪১ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৫
ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস সব ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি না দিলে গাজায় ‘নরকের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হবে’ বলে হুমকি দিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে এ হুমকি দেন তিনি। মার্কো রুবিও বর্তমানে ইসরাইল সফর করছেন। খবর আলজাজিরার।
নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমাদের একটি অভিন্ন কৌশল রয়েছে। আর সাধারণ মানুষের কাছে আমরা সব সময় এই কৌশলের বিস্তারিত প্রকাশ করতে পারি না, যেমন নরকের দরজাগুলো কখন খুলে দেওয়া হবে। যদি আমাদের সব জিম্মিকে মুক্তি না দেওয়া হয়, তাহলে নিশ্চিতভাবে দরজাগুলো খুলে যাবে।’
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা হামাসের সামরিক সক্ষমতা এবং গাজায় তাদের শাসন শেষ করে দেব। আমাদের সব জিম্মিকে আমরা বাড়ি ফিরিয়ে আনব এবং এটা নিশ্চিত করব যে গাজা যেন কখনই ইসরাইলের জন্য হুমকি না হয়ে দাঁড়ায়।’
নেতানিয়াহু বলেন, ‘গাজা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সোজাসাপটা সমর্থন এই লক্ষ্যগুলো অর্জনে আমাদের সহায়তা করবে।’
বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিষয়ে মার্কো রুবিওর সঙ্গে আলাপ করেছেন তিনি। ওই পরিকল্পনা যেন বাস্তবায়িত হয়, তা নিশ্চিত করতে তিনি কাজ করবেন।
ট্রাম্প সম্প্রতি বলেছেন, সংঘাত শেষে গাজার নিয়ন্ত্রণ নেবে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে গাজার বাসিন্দাদের মিসর, জর্ডানসহ অন্যান্য দেশে বিতাড়িত করা হবে। তার এই মন্তব্যের পর বিশ্বব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে। রুবিও বলেন, ট্রাম্পের গাজার পরিকল্পনা হয়তো অনেককে হতবাক করেছে। তবে গাজা নিয়ে একই ধরনের পুরোনো পরিকল্পনা আর করা হবে না।
গাজায় এখন যুদ্ধবিরতি চলছে। যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে শনিবার পর্যন্ত মোট ১৯ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী প্রথম ধাপে মোট ৩৩ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে হামাসের। ইসরাইলের কারাগার থেকেও কয়েক শ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা চালায়। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। এ ছাড়া প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যান হামাস যোদ্ধারা। সেদিন থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত উপত্যকাটিতে ৪৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন এক লাখ ১০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech