গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবিতে একমত যেসব মুসলিম দেশ

প্রকাশিত: ১১:১৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১২, ২০২৫

 

 

 

ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবিতে একমত হয়েছে মুসলিম দেশগুলো। শুক্রবার তুরস্কের আন্তালিয়ায় অনুষ্ঠিত হয় কূটনৈতিক সম্মেলনে এ কথা জানায় অংশ নেওয়া দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।

 

সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলোর মধ্যে আছে ফিলিস্তিন, তুরস্ক, সৌদি আরব, মিশর, বাহরাইন, কাতার, জর্ডান ও ইন্দোনেশিয়া। এসময় ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন তারা। খবর সৌদি গেজেটের।

 

সম্মেলনে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান, ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তাফা, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান ও মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাদর আবদেলাত্তিসহ অন্যান্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা গাজা ইস্যুতে নিজ নিজ দেশের পক্ষ তুলে ধরেন।

 

তারা বলেন ফিলিস্তিনিদের মুক্তি এবং চলমান সংকটের স্থায়ী সমাধানের জন্য যুদ্ধবিরতির কোনো বিকল্প নেই।

 

বৈঠকে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের বিষয়টি যুদ্ধবিরতির সঙ্গে শর্তযুক্ত করা উচিত নয়। বিশ্ব সম্প্রদায়ের উচিত সহায়তা সরবরাহে বাধা দূর করতে একযোগে কাজ করা।

 

প্রিন্স ফয়সাল এ সময় গাজা যুদ্ধবিরতির জন্য চলমান আলোচনার প্রতি সৌদি আরবের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। একই সঙ্গে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে মিসর ও কাতার-এর ভূমিকারও ভূয়সী প্রশংসা করেন।

 

বৈঠক শেষে প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে-গাজা, পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম থেকে ফিলিস্তিনিদের যেকোনো রকম জোরপূর্বক স্থানান্তর বা বিতাড়নের বিরোধিতা করা হয়েছে।

 

UNRWA (ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা)-এর প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।গাজা, পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমকে একত্র করে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অধীনে আনার আহ্বান জানানো হয়েছে।অবিলম্বে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবিও জানানো হয়েছে, যা জাতিসংঘের প্রস্তাবসমূহ অনুযায়ী হওয়া উচিত।

 

দখলকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ইসরাইলি আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন, যেমন- বসতি সম্প্রসারণ, ঘরবাড়ি ধ্বংস এবং জমি দখলের কঠোর নিন্দা জানানো হয়েছে।

 

 

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ