প্রকাশিত: ৪:৩৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১২, ২০২৫
ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন, যদি তারা নতুন চুক্তি করতে ব্যর্থ হয় তবে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। খবর আরব নিউজের।
ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে ২০১৮ সালে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে বেরিয়ে আসার পর দুদেশের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ পর্যায়ের আলোচনা।
ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি ওমানের রাজধানী মাস্কাটে এই আলোচনার নেতৃত্ব দেবেন। ওমান দীর্ঘদিন ধরে ইরান ও পশ্চিমা দেশগুলির মধ্যে মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করে আসছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি জানিয়েছে, তার প্রতিনিধিদল শনিবার সকালে মাস্কাটে পৌঁছানোর পর আরাঘচি ওমানি কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাত করেছেন।
আলোচনা শুরু হওয়ার কয়েক ঘন্টা আগে ট্রাম্প এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের বলেন,‘আমি চাই ইরান একটি চমৎকার, মহান, সুখী দেশ হোক। তাই তাদের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র থাকতে পারে না। ‘
এদিকে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উপদেষ্টা আলী শামখানি বলেছেন, তেহরান ‘একটি বাস্তব ও ন্যায্য চুক্তির সন্ধান করছে। ‘
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে তিনি বলেন, এর ‘গুরুত্বপূর্ণ এবং বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাব প্রস্তুত। ওয়াশিংটন যদি সদিচ্ছা দেখায়, তাহলে এগিয়ে যাওয়ার পথ মসৃণ” হবে। ‘
ইরানি সংবাদ সংস্থা তাসনিমের মতে, ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর বিন হামাদ আল বুসাইদির সঙ্গে বৈঠকের পর প্রতিনিধিদল পরোক্ষ আলোচনা শুরু করবে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন যে, শনিবার থেকে ইরানের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা শুরু হবে। তবে সরাসরি আলোচনার বিষয়টি প্রত্যাখান করে দিয়ে ইরান ঘোষণা করে যে, ওমানে হোয়াইট হাউসের রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফ এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচির মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যস্থতা করবে ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আল-বুসাইদি।
তবে ট্রাম্প বিভিন্ন সময়ে বলে আসছেন যে, ইরান যদি চুক্তিতে না পৌঁছায় তাহলে ‘বোমাবর্ষণ’ হবে, অথবা শুল্ক আরোপ করা হবে।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech