প্রকাশিত: ১১:৪০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৩, ২০২৫
ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম (পারভেজ) হত্যাকাণ্ডের সময় উপস্থিত দুই নারীর অবস্থান জানতে চেয়েছেন আদালত। পুলিশ আদালতকে জানিয়েছেন, ওই দুই নারীকে খোাঁজা হচ্ছে।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আজ বুধবার আলোচিত এ হত্যা মামলায় এক আসামির রিমান্ড শুনানির সময় তদন্ত কর্মকর্তার কাছে এ তথ্য জানতে চান বিচারক।
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, আজ জাহিদুল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হৃদয় মিয়াজির রিমান্ড শুনানির সময় আসামিপক্ষ থেকে আদালতকে বলা হচ্ছিল, হত্যাকাণ্ডের সময় উপস্থিত দুই নারীর সঙ্গে হৃদয় মিয়াজির কোনো সম্পর্ক নেই। তখন আদালত তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে জানতে চান, ওই দুই নারী কোথায়? তখন পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ওই দুই নারীকে তারা খুঁজছে।
জাহিদুল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানা কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব হৃদয় মিয়াজিকে (২৩) সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত।
আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, হৃদয় মিয়াজিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। তাতে বলা হয়েছে, জাহিদুল হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সময় হৃদয় মিয়াজি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি। আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন নাকচ চাওয়া হয়। উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত হৃদয় মিয়াজিকে সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
এর আগে গত ২১ এপ্রিল জাহিদুল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তিনজনকে সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন আদালত। ওই তিন আসামি হলেন মো. আল কামাল শেখ ওরফে কামাল (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) ও আল আমিন সানি (১৯)।
পুলিশ বলছে, ১৯ এপ্রিল বিকেলে বনানীর প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম ও তাঁর বন্ধু মো. তরিকুল ইসলামের ওপর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে রাস্তার ওপর কয়েকজন দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। পরবর্তী সময়ে হামলায় গুরুতর আহত জাহিদুলকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় জাহিদুল ইসলামের ফুফাতো ভাই হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২৫ থেকে ৩০ জনের বিরুদ্ধে বনানী থানায় একটি মামলা করেন।
জাহিদুলের বন্ধু মাজহারুল ইসলাম বলেন , ক্যাম্পাসের সামনে জাহিদুল তাঁর দুই বন্ধুকে নিয়ে শিঙাড়া খাচ্ছিলেন। সেখানে আরও দুই নারী শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে ছিলেন। একপর্যায়ে ওই দুই নারী শিক্ষার্থীর মনে হয়, জাহিদুল ও তাঁর বন্ধুরা তাঁদের নিয়ে হাসাহাসি করছেন। তাঁরা এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাহিদুল ও তাঁর বন্ধুরা অস্বীকার করেন। পরে ওই দুই নারী শিক্ষার্থী গিয়ে বহিরাগত তিনজনকে ডেকে আনেন। ওই তিনজন এসে জাহিদুলদের কাছে হাসাহাসির কারণ জানতে চাইলে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের নজরে আসে। তাঁরা বিষয়টি মিটমাট করে দেন। একপর্যায়ে বহিরাগত ওই তিন যুবক আরও কয়েকজনকে নিয়ে এসে ফটকের বাইরে অবস্থায় নেন। জাহিদুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক থেকে বের হতেই তারাঁ তাঁকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech