প্রকাশিত: ৩:৩৪ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৭, ২০২৫
ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী রবিউস সানী শিপুর উপর আবারো হামলা হয়েছে। তবে এবারের হামলায় মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন তিনি।আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মেধাবী শিক্ষার্থী শিপু।
এর আগে সাভারের আশুলিয়ায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করে গুরুতর আহত হন তিনি। স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। কয়েক দফা চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেন। এরপর শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনকে আসামি করে আশুলিয়া থানায় মামলা করেন তিনি। মামলা করার একমাসের মাথায় তিনি ফের হামলার শিকার হন। এসময় তার নাড়ি ভুড়ি বের হয়ে যায় । এ যাত্রায়ও বেঁচে যান শিপু। এ ঘটনায় ১৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন তিনি। এতে মামলার অন্যতম আসামি করা হয়, ধামসোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান হিরু, আওয়ামী লীগ নেতা মো. আবু তাহের, আশুলিয়া থানা আওয়ামী হকার্স লীগের সদস্য জহিরুল ইসলাম ও হাবিবুর রহমান, আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল আলীম, আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক মো. শান্ত ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. রহিম।
স্বৈরাচার সরকারের পতনের জন্য লড়াই করা শিপু দু’বার বেঁচে যাওয়া যেন এখন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। মামলা তুলে নিতে প্রতিনিয়ত আসামিরা হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এসব ঘটনায় বেশ কয়েকটি জিডিও করেছেন তিনি। অভিযোগ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বিভাগে। কিন্তু তাতেও কোন কাজ হচ্ছে না।
আসামিরা প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে তাকে। এতে নিরাপত্তাহীনতায় সময় কাটছে শিপুর পরিবারের। এখানেই শেষ নয়। গত ২২শে এপ্রিল ৯জন আসামি আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। বিচারক জামিন আবেদন নাকচ করতে চাইলে আসামিপক্ষের আইনজীবী আবেদনটি টেইক ব্যাক চান। এজলাসের ভিতরেই আসামি পক্ষে শুনানি করতে আসা রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি এমএ কালাম খান শিপুর আইনজীবী মো. শাহীন মণ্ডলকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়ার অভিযোগ করেছেন। পরে তারা আত্মসমর্পণ করা আসামিদের নিয়ে যান।
গত ২২শে এপ্রিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিপু নামের এক যুবককে মারধরের মামলায় ৭/৮ জন আসামি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। জামিন আবেদনের পক্ষে মাইনুদ্দিন নামে একজন আইনজীবী ও একজন এপিপি শুনানি করেন। কিন্তু বিচারক জামিন দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে আবেদনটি তারা টেইক ব্যাক নেন এবং আসামিদেরকেও নিয়ে যায়।
এদিকে, আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা এসব আসামিদের আওয়ামী লীগের সঙ্গে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপি’র নেতাকর্মী বলে পরিচয় তুলে ধরেন। অথচ তদন্তে উঠে এসেছে তাদের আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্টতার তথ্য।
১. মো. মেহেদী হাসান হিরু (৪৭) ধামসোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। ২. মো. আবু তাহের, আওয়ামী লীগ নেতা। ৩. জহিরুল ইসলাম, আশুলিয়া থানা আওয়ামী হকার্স লীগের সদস্য। ৪. হাবিবুর রহমান, আশুলিয়া থানা আওয়ামী হকার্স লীগের সদস্য। ৫. আব্দুল আলীম, আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক। ৬. মো. শান্ত, আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক। ৭. মো. রহিম, আওয়ামী লীগ নেতা। এসব আসামিরা বৈষম্যবিরোধী মামলার আসামি হয়ে মামলার বাদী ও তার পরিবারকে ক্রমাগত হুমকি, মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ ও অব্যাহতভাবে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগে থানায় জিডি রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
শাহীন মণ্ডল বলেন, যখন আসামিদের জামিন আবেদন নাকচ করা হয়, তখন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালতে হট্টগোল শুরু করে। এই জামিন শুনানিতে ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অ্যাডিশনাল পিপি এম এ কালাম খান অংশ নেন। তিনি একপর্যায়ে ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ইকবাল হোসেন স্যারকে ডেকে এজলাসে আনেন। পিপি পেছনে বসে নির্দেশনা দেন আসামিপক্ষের আইনজীবীদের। শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন- আরেক অ্যাডিশনাল পিপি নাজিম উদ্দিন। ভুক্তভোগীর আইনজীবী অভিযোগ করে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা আসামিপক্ষের হয়ে শুনানি করেছেন। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি।
কিন্তু আমার আবেদনে কোর্ট সন্তুষ্ট হয়ে জামিন আবেদন অপরাগতা প্রকাশ করলে এসব আইনজীবীরা আদালতকে বলেন আমরা আত্মসমর্পণ করবো না। আমরা আমাদের আবেদন টেইক ব্যাক করবো। এই বলে বেআইনিভাবে কোর্ট থেকে পিটিশন ফেরত নিয়ে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের নিয়ে বের হয়ে চলে যান। এমনকি অ্যাডিশনাল পিপি কালাম খান আমাকে হুমকি দিয়ে বলেন, আপনি কোর্টে ভুল পিটিশন সাবমিট করেছেন। আমরা বিএনপি’র লোক। আমরা আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।
অপর একটি মামলার নথির সূত্রে দেখা যায়, গত ২২শে এপ্রিল যেসব আসামিরা জামিন না পেয়ে আদালত থেকে চলে যান, সেসব আসামিরা বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলা মামলারও এজহারনামীয় আসামি। ২০১৫ সালে রাজধানীর বাংলামোটরে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে একদল লোক হামলা চালায়। এ ঘটনায় খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মী মো. ফজলুল করিম বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন।
জানা যায়, মেহেদী হাসান হিরু আশুলিয়া থানার কুখ্যাত সন্ত্রাসী। সাভার আশুলিয়া সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হত্যা, হত্যাচেষ্টা, ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে অনেকগুলো মামলা রয়েছে। ২০১২ সালের ৩রা অক্টোবর আসমা নামে এক গার্মেন্টস কর্মীকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে শ্রীপুর বাসস্ট্যান্ডের পাশে লাকড়ির দোকানে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে আসামি জহিরের বিরুদ্ধে। এছাড়া সুমী আক্তার নামে আরেক নারীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেছে, জহির, তাহের, হাবিবুর, আলীম ও তার ভাই সামাদের বিরুদ্ধে বলপূর্বক অপহরণ করে অন্যায়ভাবে চাঁদা দাবি ও সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৩ সালে আব্দুল হাকিম নামে এক ভুক্তভোগী মামলা করেন।
মামলার সাক্ষী হওয়ায় লালু মিয়া নামে এক ভাঙাড়ি ব্যবসায়ীকে গত ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে রাতের বেলা মাইক্রোবাসযোগে পথরোধ করে কুপিয়ে জখম করে। পায়ে ও হাতে গুলি করে রাস্তায় ফেলে যাওয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে আসামি জহির, তাহের, হাবিবুর, আলীম, তার ভাই সামাদের বিরুদ্ধে। এরা সবাই ডজন খানেক মামলার আসামি। আসামি মেহেদী হাসান হিরু, লিমা আক্তার ও তার দুই দেবর জহির ও তাহের, হাবিবুর, আলীম, তার ভাই সামাদ, শান্ত, মেহেদী, মো. জিন্নাহ, মো. রহিম, নাসির, মো. মাসুদ হাসান, নাজমুল, দীপু অস্ত্রধারী সদস্য ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এরা নারী ব্যবসা সহ বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত।
এর আগে সাভারের আশুলিয়ায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করে গুরুতর আহত হন তিনি। স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। কয়েক দফা চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেন। এরপর শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনকে আসামি করে আশুলিয়া থানায় মামলা করেন তিনি। মামলা করার একমাসের মাথায় তিনি ফের হামলার শিকার হন। এসময় তার নাড়ি ভুড়ি বের হয়ে যায় । এ যাত্রায়ও বেঁচে যান শিপু।
এ ঘটনায় ১৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন তিনি। এতে মামলার অন্যতম আসামি করা হয়, ধামসোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান হিরু, আওয়ামী লীগ নেতা মো. আবু তাহের, আশুলিয়া থানা আওয়ামী হকার্স লীগের সদস্য জহিরুল ইসলাম ও হাবিবুর রহমান, আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল আলীম, আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক মো. শান্ত ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. রহিম।
স্বৈরাচার সরকারের পতনের জন্য লড়াই করা শিপু দু’বার বেঁচে যাওয়া যেন এখন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। মামলা তুলে নিতে প্রতিনিয়ত আসামিরা হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এসব ঘটনায় বেশ কয়েকটি জিডিও করেছেন তিনি। অভিযোগ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বিভাগে। কিন্তু তাতেও কোন কাজ হচ্ছে না। আসামিরা প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে তাকে। এতে নিরাপত্তাহীনতায় সময় কাটছে শিপুর পরিবারের। এখানেই শেষ নয়। গত ২২শে এপ্রিল ৯জন আসামি আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। বিচারক জামিন আবেদন নাকচ করতে চাইলে আসামিপক্ষের আইনজীবী আবেদনটি টেইক ব্যাক চান। এজলাসের ভিতরেই আসামি পক্ষে শুনানি করতে আসা রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি এমএ কালাম খান শিপুর আইনজীবী মো. শাহীন মণ্ডলকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়ার অভিযোগ করেছেন। পরে তারা আত্মসমর্পণ করা আসামিদের নিয়ে যান।
গত ২২শে এপ্রিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিপু নামের এক যুবককে মারধরের মামলায় ৭/৮ জন আসামি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। জামিন আবেদনের পক্ষে মাইনুদ্দিন নামে একজন আইনজীবী ও একজন এপিপি শুনানি করেন। কিন্তু বিচারক জামিন দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে আবেদনটি তারা টেইক ব্যাক নেন এবং আসামিদেরকেও নিয়ে যায়।
এদিকে, আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা এসব আসামিদের আওয়ামী লীগের সঙ্গে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপি’র নেতাকর্মী বলে পরিচয় তুলে ধরেন। অথচ তদন্তে উঠে এসেছে তাদের আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্টতার তথ্য।
১. মো. মেহেদী হাসান হিরু (৪৭) ধামসোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। ২. মো. আবু তাহের, আওয়ামী লীগ নেতা। ৩. জহিরুল ইসলাম, আশুলিয়া থানা আওয়ামী হকার্স লীগের সদস্য। ৪. হাবিবুর রহমান, আশুলিয়া থানা আওয়ামী হকার্স লীগের সদস্য। ৫. আব্দুল আলীম, আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক। ৬. মো. শান্ত, আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক। ৭. মো. রহিম, আওয়ামী লীগ নেতা। এসব আসামিরা বৈষম্যবিরোধী মামলার আসামি হয়ে মামলার বাদী ও তার পরিবারকে ক্রমাগত হুমকি, মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ ও অব্যাহতভাবে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগে থানায় জিডি রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
শাহীন মণ্ডল বলেন, যখন আসামিদের জামিন আবেদন নাকচ করা হয়, তখন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালতে হট্টগোল শুরু করে। এই জামিন শুনানিতে ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অ্যাডিশনাল পিপি এম এ কালাম খান অংশ নেন। তিনি একপর্যায়ে ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ইকবাল হোসেন স্যারকে ডেকে এজলাসে আনেন। পিপি পেছনে বসে নির্দেশনা দেন আসামিপক্ষের আইনজীবীদের। শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন- আরেক অ্যাডিশনাল পিপি নাজিম উদ্দিন।
ভুক্তভোগীর আইনজীবী অভিযোগ করে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা আসামিপক্ষের হয়ে শুনানি করেছেন। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি। কিন্তু আমার আবেদনে কোর্ট সন্তুষ্ট হয়ে জামিন আবেদন অপরাগতা প্রকাশ করলে এসব আইনজীবীরা আদালতকে বলেন আমরা আত্মসমর্পণ করবো না। আমরা আমাদের আবেদন টেইক ব্যাক করবো। এই বলে বেআইনিভাবে কোর্ট থেকে পিটিশন ফেরত নিয়ে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের নিয়ে বের হয়ে চলে যান। এমনকি অ্যাডিশনাল পিপি কালাম খান আমাকে হুমকি দিয়ে বলেন, আপনি কোর্টে ভুল পিটিশন সাবমিট করেছেন। আমরা বিএনপি’র লোক। আমরা আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।
অপর একটি মামলার নথির সূত্রে দেখা যায়, গত ২২শে এপ্রিল যেসব আসামিরা জামিন না পেয়ে আদালত থেকে চলে যান, সেসব আসামিরা বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলা মামলারও এজহারনামীয় আসামি। ২০১৫ সালে রাজধানীর বাংলামোটরে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে একদল লোক হামলা চালায়। এ ঘটনায় খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মী মো. ফজলুল করিম বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন। জানা যায়, মেহেদী হাসান হিরু আশুলিয়া থানার কুখ্যাত সন্ত্রাসী। সাভার আশুলিয়া সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হত্যা, হত্যাচেষ্টা, ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে অনেকগুলো মামলা রয়েছে। ২০১২ সালের ৩রা অক্টোবর আসমা নামে এক গার্মেন্টস কর্মীকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে শ্রীপুর বাসস্ট্যান্ডের পাশে লাকড়ির দোকানে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে আসামি জহিরের বিরুদ্ধে। এছাড়া সুমী আক্তার নামে আরেক নারীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেছে, জহির, তাহের, হাবিবুর, আলীম ও তার ভাই সামাদের বিরুদ্ধে বলপূর্বক অপহরণ করে অন্যায়ভাবে চাঁদা দাবি ও সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৩ সালে আব্দুল হাকিম নামে এক ভুক্তভোগী মামলা করেন।
মামলার সাক্ষী হওয়ায় লালু মিয়া নামে এক ভাঙাড়ি ব্যবসায়ীকে গত ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে রাতের বেলা মাইক্রোবাসযোগে পথরোধ করে কুপিয়ে জখম করে। পায়ে ও হাতে গুলি করে রাস্তায় ফেলে যাওয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে আসামি জহির, তাহের, হাবিবুর, আলীম, তার ভাই সামাদের বিরুদ্ধে। এরা সবাই ডজন খানেক মামলার আসামি। আসামি মেহেদী হাসান হিরু, লিমা আক্তার ও তার দুই দেবর জহির ও তাহের, হাবিবুর, আলীম, তার ভাই সামাদ, শান্ত, মেহেদী, মো. জিন্নাহ, মো. রহিম, নাসির, মো. মাসুদ হাসান, নাজমুল, দীপু অস্ত্রধারী সদস্য ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এরা নারী ব্যবসা সহ বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech