প্রকাশিত: ১:১৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৬, ২০২০
ডায়ালসিলেট ডেস্ক::
আজ ৬ ডিসেম্বর রোববার। মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা হানাদারমুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে নাকাল পাকহানাদার বড়লেখা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল। ওইদিন বর্তমান উপজেলা পরিষদের সামনে এক বিজয় সমাবেশে ওড়ানো হয় লাল সবুজের পতাকা।
এদিকে ৬ ডিসেম্বর বড়লেখা হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, বড়লেখা প্রেসক্লাব ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কামান্ড যৌথভাবে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।
জানা গেছে, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বড়লেখাবাসী জেগে উঠেছিল রণহুঙ্কারে। ৩২৫টি গ্রাম যেনো প্রতিরোধের এক একটি বিশাল দূর্গে পরিণত হয়। বড়লেখা থানাটি ৪নং সেক্টরের আওতাভুক্ত ছিল। মেজর সি.আর দত্ত সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্বে ছিলেন। এ সেক্টরের সদর দপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয় ভারতের করিমগঞ্জে প্রয়াত এমপি দেওয়ান ফরিদ গাজীর নেতৃত্বে। বড়লেখা থানার পার্শ্ববতী বার পুঞ্জি ও কুকিরতলে সাব-সেক্টর স্থাপন করা হয়। হানাদারদের বিরুদ্ধে অসংখ্য ছোট বড় আক্রমণ চালিয়েছে এ সাব সেক্টরের মুক্তি সেনারা। যুদ্ধের শুরুতেই বড়লেখার স্থানে স্থানে প্রতিরোধ গড়ে তোলে সংগ্রামী মানুষ। অবিশ্বাস্য দ্রুততায় তাঁরা নেমে পড়েন শত্রুর মোকাবেলায়। ৬ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে নাকাল হানাদার বড়লেখা ছেড়ে পালায়। ভোরে বড়লেখা সম্পূর্ণ শত্রুমুক্ত হয়। পরে বর্তমান উপজেলা পরিষদের সামনে এক বিজয় সমাবেশ ওড়ানো হয় লাল সবুজের পতাকা। বড়লেখা উপজেলার লাতু, সারোপার, শাহবাজপুর, ধামাই চা বাগান, হাকালুকি পারের কয়েকটি গ্রাম, বোরাথল, মাইজগ্রাম, ডিমাই, কেছরিগুল, কাঁঠালতলী, মাধবকুন্ড, দশঘরিতে মুক্তিযোদ্ধারা অপারেশন চালিয়েছেন।
বড়লেখা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন বলেন, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বড়লেখা সম্পূর্ণ শত্রুমুক্ত হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় যেসব রাজাকার, আলবদর অনেক বাড়ি-ঘর জ্বালিয়েছে, অনেক মা-বোনের সম্ভ্রমহানী ও নর-নারীকে হত্যা করেছে, তাদের অনেকের বিচার ইতিমধ্যে হয়েছে। অন্যদেরও বিচার এ বাংলার মাটিতেই হবে।’ তিনি জানান, কুলাউড়া, বিয়ানীবাজারের চেয়েও বড়লেখায় বেশি নারী নির্যাতন ও হত্যাকান্ড হয়েছে।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech