প্রকাশিত: ১০:৪১ পূর্বাহ্ণ, জুন ৫, ২০২১
আন্তর্জাতিক ডেস্ক;;যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে গত ৬ই জানুয়ারি সহিংসতায় উস্কানি দিয়ে পোস্ট দেয়ার পর থেকেই এই দুটি সাইটে অনির্দিষ্টকালের জন্য তাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু গত মাসে তারা এর জন্য ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়। এর ফলে তার শাস্তির মেয়াদ দুই বছর করা হয়েছে। জবাবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘ট্রাম্পের কর্মকাণ্ড আমাদের নিয়মনীতি মারাত্মকভাবে লঙ্ঘন করেছে’। অন্যদিকে নিজের একাউন্ট বন্ধ করা নিয়ে ট্রাম্পও ক্ষোভ ঝাড়েন। তাকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যে লাখ লাখ মানুষ ভোট দিয়েছিলেন, ফেসবুক কর্তৃপক্ষের এ উদ্যোগকে তিনি তাদের প্রতি অবমাননা বা অসম্মান বলে আখ্যায়িত করেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
ওদিকে কিছু কন্টেন্টের বিষয়ে রাজনীতিবিদরা সুবিধা পান এমন কিছু নীতি গ্রহণের দিকে অগ্রসর হচ্ছে ফেসবুক। তবে রাজনীতিবিদরা কমেন্টের মাধ্যমে অন্যকে অবমাননা করা হয় এমন ক্ষেত্রে দায়মুক্তি পাবেন না। ফেসবুকের বৈশ্বিক সম্পর্ক বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগ এক পোস্টে বলেছেন, ৭ই জানুয়ারি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। ওই তারিখ থেকে তার বিরুদ্ধে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। তিনি আরো বলেছেন, ভয়াবহ অবস্থার প্রেক্ষিতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ দেয়া হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি তিনি আমাদের নিয়মনীতি মারাত্মকভাবে লঙ্ঘন করেছেন। এর শাস্তি উচ্চ পর্যায়ের। যদি আমরা দেখতে পাই যে, জননিরাপত্তায় মারাত্মক ঝুঁকি আছে, তাহলে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারি। এরপর আমরা পুনর্মূল্যায়ন করি যে, ঝুঁকি কমেছে কিনা। এই শাস্তির মেয়াদ শেষে ট্রাম্প যদি কোনো নিয়ম লঙ্ঘন করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আরো দ্রুত আরো কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়ে ট্রাম্পের ‘সেভ আমেরিকা’ রাজনৈতিক কমিটি থেকে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে। এতে ট্রাম্প বলেছেন, আমার পক্ষে রেকর্ড সাড়ে সাত কোটি মানুষ ভোট দিয়েছিলেন। ফেসবুকের এই শাস্তি তাদের জন্য অবমাননাকর। এই সেন্সর বা কন্ঠরোধ করা উচিত হয়নি তাদের। এতে বিজয়ী হবো আমরা। এই অপমান আমাদের দেশ আর বহন করতে পারে না। দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে দ্বিতীয় বিবৃতিতে ট্রাম্প ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এরপরে যখন আমি হোয়াইট হাউজে আসবো তখন আর মার্ক জাকারবার্গ ও তার স্ত্রীকে নৈশভোজে আপ্যায়ন করবো না।
উল্লেখ্য, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞার অর্থ হলো আগামী ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার আগেই তিনি ফেসবুকে ফিরতে পারবেন। কারণ, তার আগেই তার বিরুদ্ধে শাস্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে।
এ/
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech