ট্রাম্পের ‘ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি’ প্রত্যাখ্যান করেছে ওআইসি

প্রকাশিত: ৮:৪৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২০

ট্রাম্পের ‘ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি’ প্রত্যাখ্যান করেছে ওআইসি

ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি’ কে প্রত্যাখান করেছে । ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যকার চলমান দ্বন্দ্ব নিরসনের নামে কথিত এ শান্তি চুক্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প।

সোমবার সৌদি আরবের বন্দরনগরী জেদ্দায় ট্রাম্পের কথিত শান্তি পরিকল্পনা চুক্তি নিয়ে একটি জর“রি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে ট্রাম্পের কথিত শান্তি পরিকল্পনা চুক্তি বাস্তবায়নে মার্কিন প্রশাসনকে কোনো ধরণের সহযোগিতা না করার জন্য সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
সেই বৈঠকেই ইরানকে অংশগ্রহণ করতে দেয়নি সৌদি আরব। ইরানের পক্ষ থেকে ওআইসির বৈঠকে যোগ দিতে চাইলেও সৌদি সরকার ইরানি প্রতিনিধিদলকে ভিসা দেয় নি বলে জানা গেছে।

বিতর্কিত এই শান্তি চুক্তি ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’ আগেই প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিন। ট্রাম্পের এ চুক্তি বাস্তবায়ন করা হলে মধ্যপ্রাচ্য ভয়াবহ রকমের অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে বলে মনে করছে ফিলিস্তিনিরা।

ট্রাম্পের এ শান্তি চুক্তি পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়েছে আরব দেশসমূহের সংগঠন আরব লিগ। এ চুক্তি ফিলিস্তিনিদের অধিকার পুরোপুরি লঙ্ঘন করেছে বলেও অভিযোগ করেছে। জাতিসংঘও এ পরিকল্পনাকে প্রত্যাখান করেছে বলে জানা গেছে। এছাড়া এ পরিকল্পনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত ফিলিস্তিনি শরণার্থীদেরকে তাদের দেশে ফিরে যাওয়ার অধিকার থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে।

তবে এ পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছে সৌদি আরব। সোমবার সৌদির সংবাদ মাধ্যমের প্রকাশিত খবরে বলা হয়, ট্রাম্পের এ পরিকল্পনা ফিলিস্তিনে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সুবর্ণ সুযোগ তাই ফিলিস্তিনিদের এই সুযোগ নষ্ট করা উচিত নয়।

গত ২৮ জানুয়ারি হোয়াইট হাউসে ‘ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি’ পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সে সময়ে তার সঙ্গে উপ¯ি’ত ছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। প্রকাশিত এ পরিকল্পনায় ফিলিস্তিনের আল-কুদস বা জের“জালেম শহরকে ইসরায়েলের অবিভক্ত রাজধানী হিসেবে উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প।

এছাড়া ‘ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি’ বিরোধিতায় বিবৃতি দিয়েছেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ১৩৩ জন সদস্য। মার্কিন ওই শান্তি চুক্তিকে ফিলিস্তিনি জাতির অধিকার এবং আন্তর্জাতিক রীতিনীতির প্রতি মারাত্মক আঘাত বলে উল্লেখ করেছেন পার্লামেন্ট সদস্যরা।

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ