বাজেটে কৃষি ও গ্রামীন খাতের সঙ্গে প্রতারণা : অভিযোগ বিপ্লবী কৃষক সংহতির

প্রকাশিত: ১:২০ অপরাহ্ণ, জুন ১৬, ২০২০

বাজেটে কৃষি ও গ্রামীন খাতের সঙ্গে প্রতারণা : অভিযোগ বিপ্লবী কৃষক সংহতির

করোনাভাইরাসের বিপর্যয় মোকাবিলার লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশে গত বৃহস্পতিবার (১১ জুন ২০২০ইং) বেলা তিনটায় জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন।

মানুষের জীবন রক্ষা আর জীবিকার নিশ্চয়তা দিতে ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ: ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা’ শিরোনামে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে, যেখানে ৬ শতাংশ ঘাটতির কথা বলা হয়েছে (চলতি বছরের তুলনায় যা ১ শতাংশ বেশি) ।

প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষি ও গ্রামীণ খাতের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিপ্লবী কৃষক সংহতির সভাপতি আনছার আলী দুলাল এবং সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাদাৎ হোসেন শান্ত ও আবু লাহাব নাইুদ্দীন।

আজ মঙ্গলবার (১৬ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ করেন তাঁরা। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশের মোট শ্রমশক্তির ৪৩ শতাংশ যে খাতের ওপর নির্ভরশীল। এই করোনা মহামারিকালে কৃষি ও গ্রামীণ অর্থনীতি দেশের মানুষকে বাঁচিয়ে রেখেছে। অথচ সেই গুরুত্বপূর্ণ খাত সরকারের মনোযোগের বাইরে রয়েছে।

চলতি বাজেটে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মাত্র ২৯ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা। যা মোট বাজেটের মাত ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। এই বাজেট অন্তত তিনগুণ করা জরুরি। বিবৃতিতে বলা হয়, নানা ধরণের চাপে থেকেও কৃষকরা বাম্পার ফসল দিয়েছে। সরকার কৃষককে লাভজনক মূল্য ও নগদ প্রণোদনা দেওয়ার পরিবর্তে পরোক্ষভাবে তাদেরকে শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। পোলট্রি, দুগ্ধ, মৎস্য, তাঁতসহ কৃষি ও উদ্যোগসমূহ যে পরিমাণ প্রণোদনা ও সহযোগিতা পাওয়ার কথা তা থেকেও বঞ্চিত হয়েছে তারা।

এছাড়া চুরি, দুর্নীতি, দলীয়করণ ও অব্যবস্থার কারণে প্রকৃত চাষীরা ঠকতেই থাকে। তাছাড়া কৃষি বাজারে প্রকৃত উৎপাদক চাষির শক্তিশালী অবস্থান না থাকায় কৃষক কিনতেও ঠকে, আবার বেচতেও ঠকে।

এই পরিস্থিতিতে কৃষি ও গ্রামীণ খাতের পুনরুজ্জীবনের জন্য কৃষিখাতের বাজেটসহ সমগ্র বাজেট প্রস্তাবনা ঢেলে সাজানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।

0Shares