প্রকাশিত: ৯:৫৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ৯, ২০২০
এডিস মশার লার্ভার জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি ও সরকারী জায়গায় অবৈধভাবে পন্য রাখার অভিযোগে ৬ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে সিলেট সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমান আদালত। পরে প্রতিষ্টানগুলোতে ৮৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সিলেট সিটি করপোরেশনের ক্বীন ব্রিজ সংলগ্ন ভার্থখলা এলাকায় সিরামিক ও প্লাস্টিক পন্যের দোকানগুলোতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়। সিসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেট মো. জসিম উদ্দিন এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিসিকের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-১ মোহাম্মদ তৌফিক বকস ও সিসিকের সচিব (ভারপ্রাপ্ত) ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম।
অভিযানে সহায়তা করেন সিলেট জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কীট তত্ত্ববীদ মো. নজরুল ইসলাম। এসময় তিনি অভিযুক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর খোলা স্থানে রাখা প্লাস্টিক ও সিরামিক পন্যে জমে থাকা পরিস্কার পানিতে এডিস মশার লার্ভার অস্থিত্ব পান। সিসিকের ভ্রাম্যমান আদালতের উপস্থিতিতে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান মেসার্স নাজমুল এন্ড ব্রাদার্স-২, ধর স্যানিটারী মার্ট, মেসার্স হিমালয় স্যানেটারী, মেসার্স কয়েছ এন্ড ব্রাদাস সহ ৬টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এডিস মশার লার্ভার জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃস্টিতে তাদের অপরাধ এবং সরকারী জায়গায় অবৈধভাবে পন্য রাখার অপরাধও স্বীকার করেন তারা।
ভ্রাম্যমান আদালত তাদের বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক ৬টি মামলা করা হয় এবং সর্বমোট ৮৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এছাড়া সরকারী জায়গা থেকে দুদিনের মধ্যে পন্যসামগ্রী সরিয়ে নেয়া ও খোলাস্থান থেকে পন্যগুলো অন্যত্র সরিয়ে গুদাম জাতের নির্দেশও দেন ভ্রাম্যমান আদালত। নতুন করে সন্ধান পাওয়া এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসে ঔষধ স্প্রে করা হয়। একই সময় এলাকায় ফগার মেশিন দ্বারা মশক নিধনের ঔষধও দেয়া হয়।
সিসিকের সচিব (ভারপ্রাপ্ত) ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, গতবার এসব স্থানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ার কারণে এবার সিসিকের পক্ষ থেকে বছরের শুরু থেকেই সচেতনতামুলক কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। টায়ার টিউব ব্যবসায়ীরা খোলা স্থান থেকে তাদের পন্য সামগ্রী সরিয়ে নিলেও ভার্থখলার প্লাস্টিক ও সিরামিকের ব্যবসায়ীরা কোন পদক্ষেপ নেননি। ফলে ইতিমধ্যেই এ এলাকায় ডেঙ্গু মশার জন্ম হয়েছে। এটা খুবই উদ্বেগজনক।
সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সরকারের যুগ্ম সচিব বিধায়ক রায় চৌধুরী বলেন, নগরবাসিকে ডেঙ্গুর হাত থেকে রক্ষা করতে বছর ব্যাপি কার্যক্রম চালাচ্ছে সিসিক। ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতার জন্য নগরজুড়ে মাইকিং করা হচ্ছে। বিতরণ করা হচ্ছে সচেতনতামুলক লিফলেট।
সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও ও প্যানেল মেয়র-১ মোহাম্মদ তৌফিক বকস জানান, এর আগের এডিস মশা বংশ বৃদ্ধি সহায়ক পরিবেশ ধ্বংস করতে ব্যবসায়ীদের একাধিকবার অনুরোধ করা হয়েছে। বেআইনিভাবে সরকারী জায়গা থেকে পন্যসামগ্রী সরিয়ে নিতে বলা হলেও তারা তাতে কর্ণপাত করেননি। জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় সিটি করপোরেশন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করতে বাধ্য হয়েছে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নগরবাসির উদ্দেশ্যে বলেন, এডিস মশার সম্ভাব্য উৎস স্থল পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। কোথাও স্বচ্ছ পানি জমে থাকতে দেবেন না। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ডেঙ্গুর প্রার্দুভাব দেখা দিলে নতুন করে স্বাস্থ্য সংকটে পড়বে নগরজীবন। ডেঙ্গু মুক্ত নগরী গড়তে নগরবাসির সহযোগিতাও চান সিসিক মেয়র।
প্রসঙ্গত, গতকাল (বুধবার) চতুর্থবারের মতো সিসিকের স্বাস্থ্য বিভাগ ঐ এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা মূলক প্রচারনা চালায়। এবং খোলা স্থানে রাখা স্যানেটারী ও প্লাস্টিকের পন্যে জমে থাকা পরিস্কার পানিতে লার্ভা পাওয়া যায়। সংশ্লিষ্টদের সচেতন হবার পরামর্শ ও খোলা স্থান থেকে প্লাস্টিক বা সিরামিকের পন্য সামগ্রী সরিয়ে নিতে অনুরোধ জানানো হয়।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech