সিলেটে যুবদল নেতার মৃ ত্যু র ঘটনায় এক বছর পর মামলা

প্রকাশিত: ১০:২০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১, ২০২৪

সিলেটে যুবদল নেতার মৃ ত্যু র ঘটনায় এক বছর পর মামলা

ডায়ালসিলেট ডেস্ক :এক বছর আগে হাসিনাবিরোধী আন্দোলনের সময়  সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় জিুলু আহমদ দিলু নামের যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনায় এক বছর পর মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শনিবার (৩১ আগস্ট)  সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতে মামলাটি করেন নিহতের ভাই বুলু মিয়া। তিনি গোলাপগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ মদন গৌরি গ্রামের ইলিয়াছ আলী এলাইছের ছেলে। দিলু গোলাপগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।

মামলায় সদ্য বদলি হওয়া সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান, ৪ পুলিশ কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের ৩৩ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০০-১৫০ জনকে। প্রধান আসামি করা হয়েছে দক্ষিণ সুরমা থানার তৎকালীন ওসি মো. শামসুদ্দোহাকে।

থানার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন- গত বছরের ৩১ অক্টোবর বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধ চলাকালে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের লালাবাজার এলাকায় নেতাকর্মীদের উপর পুলিশ ও সরকার দলের লোকজন হামলা এবং গুলিবর্ষণ করে। এসময় দিলু মোটরসাইকেল নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সময় পুলিশের গাড়ি এসে তাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে দিলু পড়ে গেলে মারধর করা হয়। পরে সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। এছাড়া মামলা না করতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিহতে বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের ভয় দেখায়। তাই মামলার ভয় ও বাড়িঘর দখলের হুমকি দেওয়ায় বাদী এতদিন মুখ খুলেননি। অনুকুল পরিবেশ ফিরে আসায় তিনি এখন মামলা করেছে দিলুর পরিবার।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে এফআইআর হিসেবে রেকর্ড করার জন্য দক্ষিণ সুরমা থানাপুলিশকে নির্দেশ দেন।

মামলার অন্যতম কয়েকজন আসামি হলেন- দক্ষিণ সুরমা থানার পরিদশর্ক আবুল হোসেন, এসআই লোকমান হোসাইন, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ।

এদিকে, ঘটনার পর দক্ষিণ সুরমা থানার সে সময়ের ওসি মো. শামসুদ্দোহা  জানিয়েছিলেন – ওই যুবক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাঁকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকালে তাঁর মৃত্যু হয়।
তবে ওই সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা দাবি করে বলেন- ঘটনার দিন সকাল আটটা থেকে সাড়ে আটটার মধ্যে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজার এলাকায় সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে যুবদলের নেতা-কর্মীরা অবরোধের সমর্থনে অবস্থান নেন। তখন পুলিশ মারমুখী হয়ে তাঁদের ধাওয়া করে। এ অবস্থায় সবাই দৌড়ে পালাতে থাকেন। দিলু আহমদও সঙ্গে থাকা মোটরসাইকেলে স্থান ত্যাগ করতে রওনা হন। এ সময় পুলিশের একটি গাড়ি তার মোটরসাইকেলকে জোরে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে গুরুতর আহত হন দিলু। পরে পুলিশ তাঁদের গাড়িতে করে দিলুকে নিয়ে যায়। পুলিশের হেফাজতে থাকার সময়ও তাঁকে নির্যাতন করা হয়। বিকেলের দিকে দিলুর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।

0Shares