জনগণের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করাই এখন সময়ের দাবি

প্রকাশিত: ৫:৪৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৬, ২০২৪

জনগণের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করাই এখন সময়ের দাবি

ডায়ালসিলেট ডেস্ক :দ্রুত সংস্কার শেষ করে জনগণের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করাই এখন সময়ের দাবি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভাসানী অনুসারী পরিষদের উদ্যোগে সপ্তম ও নবম শ্রেনীর পাঠ্যপুস্তকে মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর জীবনী পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে এক গণসমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ১৬ বছরের দীর্ঘ লড়াই এবং শেষ পর্যন্ত জুলাই-আগস্টের যে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান, এর যে আকাঙ্ক্ষা একটা পূরণ হয়েছে- সেটা হলো ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। কিন্তু আরেকটা আকাঙ্ক্ষা হলো গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, জনগণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা। এমনভাবে সেই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা যাতে করে সেই গণতন্ত্র কেউ জনগণের বিপক্ষে কাজে না লাগাতে পারে। ‘প্রকৃত ও জনগণের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য যে যে সংস্কার যেখানে করা দরকার, দ্রুত সেটা করে বাংলাদেশে জনগণের নির্বাচিত সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠাই এখন সময়ের দাবি।
তিনি বলেন, এটা যত দেরি হবে তত নতুন নতুন সংগঠন গজাবে, নতুন নতুন ব্যক্তি আসবে, তারা নতুন নতুন প্রস্তাব নিয়ে আসবে, নতুন নতুন আকাঙ্ক্ষার কথা ব্যক্ত করার চেষ্টা করবে এবং বুঝানোর চেষ্টা হবে যে, এটাই জনগণের আকাঙ্ক্ষা। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলও যদি বলে যে, এটাই জনগণের আকাঙ্ক্ষা তাহলেও সেটা হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না সেটা জনগণ অনুমোদন করে।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই সরকার একটা অদ্ভুত সরকার। অদ্ভুত কেনো বললাম? এই সরকার এখন নিজেই বুঝতে পারছে না তারা কী বিপ্লবী সরকার নাকি সাংবিধানিক সরকার। এরকম একটা দ্বিধার মধ্যে পড়ে থেকে আবার কেউ কেউ বলছেন, বিপ্লব যে অসম্পূর্ণ ছিলো সেই অসম্পূর্ণ বিপ্লব এবারে আমরা সম্পূর্ণ করব। এজন্য আবার দফা-দফা পেশ করেছেন। বিপ্লব সেটা, যেটা মানুষের জীবনকে বদলে দেয়, দেশের চরিত্র বদলে দেয়, যেটা দেশকে গুণগতভাবে আরও বেশি উন্নত করে। এখন পর্যন্ত এরকম হয়নি।বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আমি উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে, অনেকে নানা ধরনের এজেন্ডা নিয়ে এখন হাজির করার চেষ্টা করছে। গণঐক্যকে আবার তারা বিভাজনের জায়গায় ঠেলে দিচ্ছেন। আবার তারা নানা ধরনের অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন উত্থাপন করছেন। আমি পরিষ্কার বলতে চাই, আপনারা যারা যে এজেন্ডা নিয়ে হাজির হয়েছেন, আগামী নির্বাচনে আপনাদের এজেন্ডা দেশবাসীর সামনে হাজির করুন। মানুষ যদি আপনাদের এজেন্ডাকে সমর্থন করে, নতুন জনপ্রতিনিধি হিসেবে নতুন পার্লামেন্টে আপনারা আপনাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবেন। কিন্তু মেহেরবানি করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিব্রত করবেন না, তাদেরকে বিতর্কিত করবেন না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিব্রত হলে বা ব্যর্থ হলে অভ্যুত্থানের সাফল্য অনেকখানি বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে।
গণসংহতি আন্দোলনের গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, এই মুক্তি যাতে আগামী দিনে রাষ্ট্রে প্রতিফলিত হয় তারজন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সেই রাজনীতি খুঁজতে হবে এবং সেই শক্তিকে বিকশিত করতে হবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুলের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সদস্য সচিব ফারুক হাসান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ