তিনি বলেন, কোনো হঠকারী পদক্ষেপ নয়, সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় সবকিছু করতে হবে। আমাদের ফোরাম আছে, সেই ফোরামের মিটিং হবে, সেখানে আলোচনা করে আমাদের অবস্থান আমরা পরিষ্কার করবো।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আগেও বলেছি, আমরা গণঅভ্যুত্থানের যে ফলাফল, সেই ফলাফলের ফসলকে ঘরে তোলার জন্য- বাংলাদেশে বিপ্লবকে যদি সুসংহত করতে হয়, তাহলে যেটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য এবং কোনো রকম হঠকারী পদক্ষেপ গ্রহণ না করে একটা সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় সবগুলো কাজ করার প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।

তিনি বলেন, ‘আমরা বারবার বলছি, নির্বাচন কেন্দ্রিক প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করে দ্রুত একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। সেটা একমাত্র সমস্ত সংকটগুলোকে নিরসন করতে পারে। নির্বাচন বিলম্ব হলে সংকট প্রকট হবে বলে মনে করেন কিনা- জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা আমরা বারবার বলছি, পার্টির তরফ থেকে বলা হচ্ছে যে- যত দ্রুত সম্ভব সাধারণ নির্বাচন, নিরপেক্ষ নির্বাচন করা দরকার। একটা সাংবিধানিক রাজনৈতিক শক্তি দেশের দায়িত্ব নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করা দরকার। এ সময় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের আন্দোলনে যুবদলের ভূমিকার প্রশংসা করেন মির্জা ফখরুল।
যুবদলের  প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এদিন সংগঠনের সভাপতি মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের নিয়ে বিএনপি মহাসচিব জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে আসেন। তারা পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের পাশাপাশি প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন। এ সময় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান রবকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনসহ যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

পরে দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মেডিকেল ক্যাম্প ও স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি উদ্বোধন করেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। এ সময় যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।