প্রাথমিক খোলার প্রস্তুতি নিতে পরিপত্র, ৮ নির্দেশনা

প্রকাশিত: ৭:০৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০

প্রাথমিক খোলার প্রস্তুতি নিতে পরিপত্র, ৮ নির্দেশনা

ডায়ালসিলেট ডেস্কদ::আগের নির্দেশিকা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ফের খুলে দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে পরিপত্র জারি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিদ্যালয় খোলার আগে আট দফা নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলার কথা বলা হয়েছে পরিপত্রে।

বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম আল হোসেনের সই করা পরিপত্রে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশ্বব্যাপী বিদ্যালয়গুলোর মতো বাংলাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোও বন্ধ রয়েছে। এর ফলে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে, শিশুর শিখনযোগ্যতার ওপরে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তাই জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে দ্রুত সময়ে বিদ্যালয় ফের চালু করা জরুরি।

প্রাথমিক বিদ্যালয় ফের চালু করার আগে পূর্বপ্রস্তুতি নেওয়া দরকার জানিয়ে পরিপত্রে বলা হয়, প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার প্রস্তুতি নিতে গত ৩ সেপ্টেম্বর জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধির একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়। সে অনুযায়ী বিদ্যালয় খোলার প্রস্তুতি নিতে হবে।

প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার আগে আটটি নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলার কথা বলা হয়েছে পরিপত্রে।

সেগুলো হলো—

১। শ্রেণিকক্ষসহ বিদ্যালয়ের পুরো আঙ্গিনা সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

২। বিদ্যালয়ের সব আসবাবপত্র সার্বক্ষণিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত করতে হবে;

৩। শরীরে তাপমাত্রা পরিমাপ করতে ইনফ্রারেড থার্মোমিটার স্থানীয়ভাবে কিনতে হবে;

৪। সাবান, ব্লিচিং পাউডার ইত্যাদি কিনতে হবে;

৫। ওয়াশব্লক ও টয়লেট সার্বক্ষণিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে;

৬। মগ, জগ ও বালতি কিনতে হবে;

৭। অস্থায়ীভাবে হাত ধোয়ার স্থান নির্ধারর করে হাত ধোয়ার পর্যাপ্ত পানি ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে;

এবং

৮। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য শ্রমিকের যৌক্তিক সেবা কিনতে হবে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) এবং

কোভিড-১৯ মেয়াদকালে ইন্টারনেট ডাটা কিনতে হবে (এ খাতে যদি বরাদ্দ না থাকে)।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, বিদ্যালয়ে বরাদ্দ স্লিপ ফান্ড থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্থানীয়ভাবে সাশ্রয়ী মূল্যে সামগ্রী বা সেবা সংগ্রহ করা যাবে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিদ্যালয় পুনরায় চালুর নির্দেশিকার আলোকে নিজ নিজ বিদ্যালয় স্থানীয়ভাবে পরিকল্পনা করে তা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করবে। উপযুক্ত ব্যয়ের ক্ষেত্রে সরকারের প্রচলিত আর্থিক বিধিবিধান অবশ্যই প্রতিপালন করতে হবে।

0Shares