ঘুরে দাঁড়িয়ে সিলেটের দারুণ জয়

প্রকাশিত: ৭:২৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২০, ২০১৯

ঘুরে দাঁড়িয়ে সিলেটের দারুণ জয়

স্পোটর্স ডেস্ক :: সেঞ্চুরির অপেক্ষায় থাকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ তিন অঙ্কের দেখা পেলেন ঠিকই। কিন্তু দলের প্রয়োজনে ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ এই ব্যাটসম্যান। তাতে ভুগল ঢাকা মেট্রো।

প্রথম ইনিংসে ২৪৬ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের রান ২৭৩। সিলেট প্রথম ইনিংসে করেছিল ৩১৯ রান। ৭৩ রানের লিড পাওয়া সিলেট ২০১ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য পায়। ইমতিয়াজ হোসেন তান্নার সেঞ্চুরি ও জাকির হাসানের হাফ সেঞ্চুরিতে সিলেট জিতে যায় সহজেই। ৮ উইকেটের বিশাল জয়ে সিলেট দ্বিতীয় স্তরের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেল।

৯৫ রানে অপরাজিত থেকে তৃতীয় দিন শেষ করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। রোববার শেষ দিনে বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে সেঞ্চুরি পেতে সময় নেননি জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার। লিগে টানা দুই ফিফটির পর এবার তিন অঙ্ক অতিক্রম করেন।

কিন্তু নিজের ১২তম প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট সেঞ্চুরির ইনিংসটিকে বড় করতে পারেননি। ১১১ রানে পেসার আবু জায়েদের বলে বোল্ড হন মাহমুদউল্লাহ। ২৪৩ বলে ৬ চার ও ১ ছ্ক্কায় সাজান ইনিংসটি।

এর আগে আবু জায়েদ ফেরান ৪২ রান করা শহিদুল ইসলামকে। ঢাকা মেট্রোর লেজটাও মুড়ে দেন আবু জায়েদ। আরাফাত সানী (১) ও মানিক খান (০) দ্রুত সাজঘরে ফেরেন। শেষ দিনে ঢাকার অবশিষ্ট ৪ উইকেটই নেন ডানহাতি পেসার।

২০১ রানের লক্ষ্যে মধ্যাহ্ন বিরতির আগে মাত্র ২ ওভার ব্যাটিংযের সুযোগ পায় সিলেট। স্কোরবোর্ডে ২ রান তুলে বিরতিতে যান ইমতিয়াজ ও তৌফিক। বিরতি থেকে ফিরে সানীর বলে তৌফিক আউট হন ১০ রানে।

এরপর ১৬২ রানের জুটি গড়েন ইমতিয়াজ ও জাকির। অনেকটা ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করে দ্রুত রান তোলেন তারা। জয় থেকে ১৪ রান আগে জাকির ৭২ রান করে আউট হলেও ইমতিয়াজ সেঞ্চুরি পেতে ভুল করেননি। ১৭৮ বলে ১১০ রান করেন ১১ চার ও ১ ছক্কায়। তার সঙ্গে ৮ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন আফিফ হোসেন।

ইমতিয়াজ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার ১১তম সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেও ম্যাচসেরার পুরস্কার পয়েছেন জাকির। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান প্রথম ইনিংসেও করেছিলেন ৭১ রান।

প্রথম রাউন্ডে বাজেভাবে হারের পর দ্বিতীয় রাউন্ডে ঘুরে দাঁড়াল সিলেট। দুই ম্যাচে ১ জয় ও ১ ড্রয়ে ১১.১৯ পয়েন্ট রাজীন সালেহর শিষ্যদের। কোচ হিসেবে রাজীন সালেহর এটাই প্রথম জয়।

0Shares