প্রকাশিত: ৭:১৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৮, ২০২৫
ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: বহুল আলোচিত ‘ছাগলকাণ্ডে’ জড়িত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমানকে অস্ত্র মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত। কারাগারে বিধি অনুযায়ী ডিভিশন ও চিকিৎসা সুবিধা পাবেন তিনি। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তারের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
গত মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে স্বস্ত্রীক ডিবির হাতে গ্রেপ্তার হন সাবেক এই এনবিআর কর্মকর্তা।
এসময় তার কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র ও ২৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাকে ভাটারা থানায় অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে ঢাকার আদালতে তোলা হয়। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড দেন।
রিমন্ড শেষে শনিবার আদালতে আনা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।
এর আগে ১৫ জানুয়ারি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় ‘ছাগলকাণ্ডে’ আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।
গত বছরের ২৩ জুন ছাগলকাণ্ডে আলোচিত মতিউর রহমানকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাকে সংযুক্ত করা হয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে।
এরপর ৩১ জুলাই চাকরি থেকে অবসর মো. মতিউর রহমান। পরে ২৯ আগস্ট অবসরে যান তিনি।
কোরবানির ঈদে ঢাকার সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ১২ লাখ টাকার একটি ছাগল কিনে আলোচনার জন্ম দেন মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত। এছাড়া কেনেন আরো কয়েক লাখ টাকার গরু।
এরপর থেকে মতিউর রহমানের ছেলের দামি ব্র্যান্ডের ঘড়ি, গাড়ি, আলিশান জীবনযাপন; মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, বাংলো বাড়ি, জমিসহ নামে-বেনামে সম্পত্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
এ নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠা শুরু হওয়ার পরেই মুশফিকুর রহমান ওরফে ইফাতকে নিজের ছেলে হিসেবে অস্বীকার করেন মতিউর রহমান।
এদিকে দুদকের অনুসন্ধানে মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে থাকা বহু জমি এবং ঢাকায় চারটি অ্যাপার্টমেন্ট (ফ্ল্যাট) জব্দের আদেশ দেয় আদালত।
পাশাপাশি মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে থাকা ১১৬টি ব্যাংক হিসাবে জমা থাকা ১৩ কোটি ৪৪ টাকাও অবরুদ্ধ করার আদেশ দেয় আদালত। এছাড়াও মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে থাকা ২৩টি বিও হিসাব (শেয়ার ব্যবসার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) অবরুদ্ধ করারও আদেশও আসে।
মতিউরের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ ও তার ছেলে আহমদ তৌফিকুর রহমানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয় ঢাকার আদালত।
দুদক জানায়, মতিউরের বিরুদ্ধে হুন্ডির মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের অর্থ বিদেশে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
ছাগলকাণ্ডের আলোচিত মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরাই যে কেবল অঢেল সম্পদ গড়েছেন তা নয়, বিপুল বিত্ত-বৈভবের মালিক বনে গেছেন সাবেক এই রাজস্ব কর্মকর্তার বান্ধবী আরজিনা খাতুনও। তিনিও এনবিআরের কর্মকর্তা।
গত ১০ জুন আরজিনার দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদের খতিয়ান তুলে ধরে দুদকে অভিযোগ জমা দেন এক ব্যক্তি। তাতে বলা হয়, মিথ্যা তথ্য দিয়ে পণ্য আমদানি, মানি লন্ডারিং, স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের সঙ্গে যোগসাজশে দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন আরজিনা।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech