প্রকাশিত: ৯:২০ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২৪, ২০১৯
ডায়ালসিলেট ডেস্ক:এবার হত্যা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। রাজধানীর খিলগাঁওয়ে গুলি করে হত্যা ও টাকা ছিনতাইয়ের মামলায় খালেদের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম এ মামলায় খালেদকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
আদালতে খালেদকে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার (এসপি) মিনা মাহমুদা। আবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ইসরাইল হোসেন ও শরীফ হোসেন সায়মনকে গুলি করে ৩৮ লাখ টাকা ছিনতাই করা হয়।
ঘটনাস্থলে সায়মন নিহত হন। আর ইসরাইল গুরুতর আহত অবস্থায় পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি হন। ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল তিনি মারা যান। মামলায় আসামি (খালেদ) ও তার অন্য সহযোগীদের পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী এ হত্যাকাণ্ড ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সঙ্গে খালেদের সম্পৃক্ততা একাধিক সূত্রে পাওয়া গেছে। এ কারণে খালেদকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোসহ হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনে এবং জড়িত অন্যদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ ও গ্রেফতারের লক্ষ্যে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।
রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ আসামির রিমান্ড মঞ্জুরের শুনানি করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, ইসরাইল ও সায়মন ছিলেন রাজধানী মানি এক্সচেঞ্জের মালিক। ২০১৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর তারা মানি এক্সচেঞ্জের ৩৮ লাখ টাকা নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন। বাসার গেটের সামনে আসার পর তিন থেকে চারজন তাদের গুলি করে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। গুলিতে সায়মন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। ইসরাইল গুরুতর আহত হন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ মামলায় এর আগে তিন আসামি গ্রেফতার হয়। ২০০৭ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করা হয়। কিন্তু তদন্ত অসম্পূর্ণ থাকায় আদালত তা অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইতে পাঠান। অধিকতর তদন্তে আসামি খালেদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এ কারণে তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ড আবেদন করা হয়। অপরদিকে আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির রিমান্ডের ওই আদেশ দেন।
১৩ অক্টোবর তৃতীয় দফায় রিমান্ড শেষে খালেদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় খালেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরদিন ১৯ সেপ্টেম্বর খালেদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও অর্থ পাচার আইনে গুলশান থানায় তিনটি এবং মতিঝিল থানায় মাদক আইনে একটি মামলা করে র্যাব। এরপর মামলাগুলোতে তাকে তিন দফা রিমান্ডে নেয়া হয়। এছাড়া ২১ অক্টোবর খালেদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আরেকটি মামলা হয়। দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) মামলাটি করেন।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech